
গফুর মিয়া চৌধুরী, উখিয়া :
উখিয়ায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিসে উপ-সহকারী প্রকৌশলীর ক্ষমতার অপব্যবহার ও দৌরাত্ব থামানো যাচ্ছে না। উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের ঘুষ বানিজ্যে ও ঠিকাদারের কাছ থেকে কমিশনের টাকা আদায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। বিতর্কিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: সোহারাব আলীর ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের কারণে এলজিইডি অফিস এখন দূর্নীতির আখাঁড়া হিসাবে পরিনত হয়েছে। দূর্নীতিবাজ এ অফিসারের অনৈতিক দাবী ও কমিশনের উৎকোচের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে ঠিকাদারা। এমনকি এই উপ-সহকারী প্রকৌশলীর হাতে এলজিইডি অফিস জিম্মী হয়ে পড়লেও যেন দেখার কেউ নেই।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, উখিয়া এলজিইডি অফিসে উপ-সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে মো: সোহারাব আলী বিগত ২বছর পূর্বে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে নিজেকে বড় মানের প্রকৌশলী দাবী করে উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের নিয়োজিত ঠিকাদারকে কথায় কথায় ধমক ও বিল বন্ধ বা ফাইল আটকানোর মধ্যে দিয়ে তার প্রতান্ড দাপট দেখায়। অবশেষে উপায়ন্ত না দেখে এই দাপটি অফিসারের সাথে আপোষ রফা শুরু করে ঠিকাদারগণ।
অভিযোগ উঠেছে, উক্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী দূর্নীতিবাজ ও বির্তকিত মো: সোহারাব আলী অফিসে একছত্র প্রধান্য বিস্তার করে ঘুষ বানিজ্য ও কমিশনের টাকা আদায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের কোটি কোটি টাকার নবনির্মিত পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন, রাবার ড্যাম স্থাপন, কারপেটিং রাস্তা, ব্রিজ কালভার্ড, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বমুখি সম্প্রসারন ভবনসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের তদারকি দায়িত্ব প্রাপ্ত অফিসার হিসেবে ব্যাপক উৎকোচ আদায়ে নেমেপড়ে। সরকারী সিডিউল অমান্য করে ঠিকাদারগণ অনিয়ম ও দূর্নীতি মাধ্যমে নির্মাণ কাজ চালিয়ে গেলেও উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কমিশনের টাকায় পকেট ভরে যায়। কারণ তিনি কমিশনের টাকা পেলেই সকল প্রকার অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়মে পরিনত হয়।
সর্বশেষ জানা যায়, অতি সম্প্রতি উপজেলী প্রকৌশলী মোস্তফা মিনহাজ বদলী হয়ে ফেনী জেলার সোনাগাজী উপজেলায় চলে গেলে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে দূর্নীতিবাজ এই বির্তকিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী। বলতে গেলে তিনি একাই একশ। কমিশন ও উৎকোচের টাকা পেলেই যে কোন প্রকল্পের ফাইল স্বাক্ষর করে দেয় তিনি। আর যারা ঘুষের টাকা দিতে অনীহা করে তাদের ফাইল আটকিয়ে রাখা হয়। নিজেকে বড় মানের কর্তা দাবী করে পুরো এলজিইডি অফিসকে জিম্মি করে রেখেছে। তার অনৈতিক হস্তক্ষেপ ও দৌরাত্বের কারণে অফিসের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক ঠিকাদার জানান, উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: সোহারাব আলীর নিকট আমরা জিম্মি। উখিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা অভিযোগ করে বলেন, এ অফিসারেরে কাছ থেকে সংবাদ পত্রের জন্য তথ্য চাওয়া হলে অসৌজন্য আচরন করে। তথ্য না দিয়ে উল্টো সংবাদ পত্র ও গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে বিষেদগারসহ নানা মন্তব্য করতে দেখা যায়। সুশীল সমাজের মতে এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পাহাড় সমান অভিযোগ থাকার পরও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফলে উখিয়ার কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ ভেস্তে পড়ার উপক্রম হয়েছে।
এ ব্যাপারে বক্তব্য নেওয়ার জন্য একাধিক বার যোগাযোগ করেও মোবাইল ফোন রিসিভ না করায় উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: সোহরাব আলীর সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। সচেতন মহল উখিয়া এলজিইডি দূনীতি মুক্ত করার জন্য অবিলম্বে এই বিতর্কিত কর্মকর্তাকে অবিলম্বে বদলী করার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর আলম সিদ্দিকীর নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
পাঠকের মতামত